বাংলাদেশে ২২টি শর্তে পুলিশের অনুমতি পাওয়ার পর বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি আজ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করছে।
এর আগে পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় দুই দফায় জনসভার তারিখ পেছানো হয়।
সমাবেশে কী বার্তা তারা দিতে চান?
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ বলছেন, আজকের সমাবেশে তারা মূলত দুইটি বিষয় তুলে ধরতে চান। একটি হলো, আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের দাবি নামা তুলে ধরা, আর সংক্ষেপে নিজেদের ১২দফা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরা, যেখানে থাকবে যে ভবিষ্যতে বিএনপি কি করতে চায় বা ক্ষমতায় আসলে কিভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, তার বর্ণনা।
”আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দাবি নামাগুলো ঘোষণা করিনি।এ কারণে আমাদের সাত দফা দাবি ঘোষণা করা হবে।”
মি. আহমেদ বিবিসি বাংলাকে জানান, যে সাত দফা দাবি আজ ঘোষণা করবে বিএনপি, তার মধ্যে রয়েছে,
•নির্বাচনের সময় একটি নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে
•সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে
•নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে
•ম্যাজিস্টেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে
•ইভিএম পদ্ধতি বাতিল করতে হবে বা চালু করা যাবে না
মওদুদ আহমেদ বলছেন, ”আমাদের এর অতিরিক্ত দাবি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সেই সঙ্গে হাজার হাজার যে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং যারা কারাগারে রয়েছে, সেই সব রাজবন্দীর মুক্তি চাই। সেই সঙ্গে নির্বাচনের সময় নতুন করে যেন আর মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের আর গ্রেপ্তার করা না হয়। কারণ বেগম জিয়ার মুক্তি ছাড়া একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে আমরা মনে করি।”
তবে বিএনপির এসব দাবির সঙ্গে ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা কি একমত?
প্রথম পাঁচটি বিষয়ে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা অন্যদলগুলোও একমত বলে তিনি জানান।
তবে বিএনপির শেষ দুইটি দাবি প্রসঙ্গে মওদুদ আহমেদ বলছেন, ”তারা আমাদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন, সেটা বলা যাবে না। তার কারণ, ২২ তারিখে যে ঘোষণাপত্র পড়ে শোনানো হয়েছে, সেখানে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে।”
তবে আজকের এই সমাবেশে ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা যোগ দেবেন না বলেই বলছেন মি. আহমদ।
তিনি বলছেন, ”ড. কামাল হোসেন এখন দেশে নেই। তিনি থাকলে আমরা এটা চিন্তা করতাম, সবাইকে দাওয়াত দিতাম। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা নিজেরাই এই জনসভা করতে যাচ্ছি।”
নিজেদের দাবি আদায়ে কি প্রক্রিয়ার কথা ভাবছে বিএনপি?
মওদুদ আহমদ বলছেন, ”অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহের জন্য প্রাথমিকভাবে একটি কর্মসূচী ঘোষণা করবো। তারপরে ঐক্য প্রক্রিয়ার অংশীদারদের সঙ্গে বসে, আলাপ আলোচনা করে ভবিষ্যৎ কর্মসূচী প্রণয়ন করবো। মূলত এই কর্মসূচী হবে জনমত সৃষ্টি করা এবং জনসমর্থন কতটা আছে, সেটা দেখানো।”
সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে বিএনপি তাদের দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করেছিল।
সূত্র, বিবিসি